কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা `বিনিসুতোয়’। মাত্র একটি হলে এই সিনেমা মুক্তি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এবার সেই প্রদর্শনী হল নিয়েই আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সিনেমার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
বিনি-সুতোয়, অর্থাৎ সুতোর বাঁধন ছাড়া। ছবির ইংরেজি নামও তাই ‘উইদাউট স্ট্রিংস’। সমাজের ভিন্ন দুই অবস্থান থেকে উঠে আসা দু’টি মানুষ আলগা সুতোর মতোই জুড়ে যায় একে অন্যের সঙ্গে, অথচ জড়িয়ে যায় না। সমান্তরাল দুই জীবন ক্ষণকালের জন্য কোনও বিন্দুতে মিলিত হলে খুলে যায় অনেক সম্ভাবনা, সেখান থেকে তৈরি হতে পারে কত অজস্র গল্প! বস্তুত, এই গল্পের ধারণাকে পুঁজি করেই অতনু ঘোষের ছবি এগিয়ে চলে।
কলকাতার নন্দন সিনেমা হলে সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীস্থলে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা ঋত্বিক। কিন্তু তাকে নন্দনের প্রদর্শনী হলে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে নিজেই ফেসবুকে জানিয়েছেন ঋত্বিক।
তিনি লিখেছেন, দুঃখিত। আজ নন্দনে ঠিক পৌঁছেও আপনাদের সঙ্গে সেভাবে দেখা করতে পারলাম কই! কোভিড স্বাস্থ্যবিধির কারণে নন্দনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু গেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনৈক মুখার্জি (আমি ওনার নাম জানি, তবে অযথা ওনাকে বিখ্যাত করব না তাই নাম নিলাম না) এই কাজের উপযুক্ত কি না জানি না; কিন্তু অতি অভদ্র তা দেখতেই পেলাম। কী সব নিয়ম উল্লেখ করে, আমাদের কয়েকজনকে নন্দনে ঢুকতে দিলেন না, আর পুরোটাই উনি যাকে বলে পুলিশি রোয়াবেই বোঝালেন।
‘অথচ আমাদেরই ছবি চলছে। আমরা দর্শকের সঙ্গে একটু কথাই বলতে গিয়েছিলাম। পরে একাডেমির সামনে ছিলাম, আপনাদের কারো সঙ্গে কথাও হলো। আশা রাখি উনি নিশ্চয়ই একদিন নন্দনের গেটে দাঁড়ানোর মতো ভদ্রতা শিখে নেবেন। ইতিমধ্যে আজ নন্দনে বিনিসুতোয় হাউজফুল ছিল।’
অতনু ঘোষের পরিচালনায় সিনেমাটিতে টালিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।
সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.