পিত্তরস কাজ করতে না পারলে খাবার হজমে সমস্যা হয়। আর শরীরে কোলেস্টেরল বাইল সল্টের পরিমাণ বেড়ে গেলে তৈরি হয় গলব্লাডারে পাথর। স্নেহজাতীয় বা চর্বিজাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে পিত্তরস।
পিত্তথলির যত্ন : প্রতিদিন দুই লিটার পানি পান করুন। এতে পুরো দেহে সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচল করবে। ফলে গলব্লাডারের পিত্তরস কাজ করবে সঠিকভাবে। ব্লাডপ্রেসার, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ, ওজন সর্বদা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এ অসুখগুলো বেড়ে গেলে পিত্তথলি সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে না। যে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য, ধূমপান দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, যৌনক্ষমতাবর্ধক ওষুধ, যে কোনো হরমোনের ওষুধ চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রচুর পরিমাণে তিতাজাতীয় খাবার ও শাকসবজি খান।
আঁশজাতীয় খাবার সব মানুষের জন্য উপকারী। অতিরিক্ত তেল ও চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন। এ খাবারগুলোর বাড়তি তৈলাক্ত অংশ পিত্তথলিতে জমা হয়। বছরের পর বছর এভাবে তৈলাক্ত বর্জ্য বা কোলেস্টেরল জমার ফলে তরল পিত্ত শক্ত পাথরে পরিণত হয়। পিত্তথলিতে ইনফেকশন হয়ে পুঁজ জমতে পারে। ইনফেকশন হলে জ্বর জ্বর ভাব, পেটে ব্যথা, বমিও হতে পারে। মাঝে মধ্যে যদি পেটের ডানপাশে ব্যথা হয়, তবে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হোন।
তারিখ পার হয়ে যাওয়া খাবার বা ওষুধ খাবেন না। এগুলো কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। অতিরিক্ত ওজন বা যারা হঠাত্ করে খুব বেশি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন কিংবা দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকেন, তারাও আক্রান্ত হতে পারেন পিত্তথলির পাথরে।
– বাংলাদেশবাণীটোয়েন্টিফোরডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.