গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফে দিন দুপুরে গহীন পাহাড়ে পুলিশের সাথে গোলাগুলি সংঘটিত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকিরের এক সহযোগী নিহত ও ডাকাত দলের তিন সদস্য আটক করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় টেকনাফ থানার (ওসি) তদন্ত এবিএমএস দোহাসহ তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে অপরাধ সংঘটিত করার জন্য টেকনাফ সদর ইউনিয়ন হাবিরছড়া গহীন পাহাড়ী এলাকায় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত অবস্থান নিয়েছে।
সেই তথ্য অনুযায়ী ৬ মার্চ (শুক্রবার) বিকাল ৪ টার দিকে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকষ দল অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাতকে আটক করে। একপর্যায়ে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জকির বাহিনীর অন্য সহযোগীরা আটক ডাকাতদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ শুরু করে। ডাকাত দলের ছোঁড়া গুলিতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থ পুলিশ সদস্যরা পাল্টাগুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ধৃত ডাকাতরা হচ্ছে, হ্নীলা নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবু তাহেরের পুত্র খুরশেদ আলম (৩৯), জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুর ককিমের পুত্র মোঃ আমিন (২৫), টেকনাফ সদর ইউনিয়ন রাজারছড়া এলাকার নজির আহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (২০)।
আর নিহত যুবক হচ্ছে, হ্নীলা ইউনিয়নের অন্তর্গত মোছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোঃ সিরাজুল ইসলামের পুত্র শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকিরের ভাগীনা ডাকাত মোঃ অজি উল্লাহ (৩০)।
এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি বিদেশী পিস্তল, দেশীয় তৈরি ৩টি এলজি অস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২৩ রাউন্ড খালীখোসা, ২ হাজার ইয়াবা ও বিভিন্ন বাহিনীর নকল বেশ কয়েকটি পোষাক উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাত দলের বেশ কয়েকটি গ্রুপ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা মাদকপাচারসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা সংঘটিত করছেনা। সেই সমস্ত অপরাধীদের নির্মুল করার জন্য পুলিশের চলমান এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
You must be logged in to post a comment.