নির্বাচন কমিশন যখন চাইবে তখনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, ভবিষতে দুই সিটির জন্য নতুন প্রার্থী আসবে কি না তা নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে। এদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বর্তমান নেতৃত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আসছে বছরের মে মাসে। ফেব্রুয়ারি, মার্চে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আইনী বাধ্যবাধকতা আর মাঠের প্রস্তুতির সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে জানুয়ারিতেই দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের দিনক্ষণ গণনার সঙ্গে তৃণমূলেও পড়তে শুরু করেছে এর প্রভাব। কিন্তু এ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কাউন্সিলটা আমরা এ জন্যই করেছি। ইসি আমাদের প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা বলেছি যখন তারা চাইবে তখনই নির্বাচন করতে প্রস্তুত। সিটি নির্বাচনটা হবে এটা জেনেই সম্মেলনটা আমরা করে ফেলেছি।
আসছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতায় কোনো পরিবর্তন আসছে কি?
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখনও চিন্তাভাবনা করছি। আমাদের বোর্ড বসবে। সেখানে আমরা ডিসিশান নেব। তবে এখনো আমরা চিন্তাভাবনা করছি।
সিটি নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুত আছে ৩০ হাজারের মতো ইভিএম মেশিন। অর্ধকোটি ভোটারের দুই সিটির নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় ৫০ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা নিয়েও কাজ শুরু করেছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সচিবালয়কে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলেছিলাম। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই করতে চাই। যে ঝামেলাই থাক না কেন আমরা বসে সমাধান করব।
ঢাকার উত্তরে ৫৪টি ও দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকবে আড়াই হাজারেরও বেশি।
সূত্র: somoynews.tv – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.