মহৎ কিছু অর্জনের জন্য দলের নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহৎ কিছু অর্জনের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের সেই ত্যাগেরই শিক্ষা দেয়।’
২২ আগস্ট, রোববার সরকারি বাসভবন গণভবনে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা অতিথিদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ যেন নির্বিঘ্নে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারে, সেজন্য তার সরকার সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়েছি, যাতে করে যারা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন তারা যেন ভালোভাবে নিজ নিজ এলাকায় পৌঁছতে পারেন এবং পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে আবার সহি-সালামতে ফেরত আসতে পারেন।’
সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ, র্যাব থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, যাতে আপনারা নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারেন।’
‘মহৎ কিছু অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন’ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময়ই বঙ্গবন্ধুর এই দর্শনকে সঠিক বলে মনে করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছর শোকের মাস আগস্টেই পবিত্র ঈদুল আজহা এসেছে। এ মাসেই বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগসহ অনেক মহান আত্মত্যাগের স্মৃতি আমাদের রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ থেকে কেবল আমরা দুই বোন বেঁচে গেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। কাজেই আমাদের জন্য আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনারা দোয়া করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। যাতে তারা একটু উন্নত এবং সুন্দর জীবন পেতে পারে, সকলে খাদ্য পায়, আশ্রয় পায়, শিক্ষালাভের এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পায়।’
তিনি বলেন, ‘গভীর শোক বুকে ধারণ করে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, যেখানে জনগণ শান্তি এবং উন্নত জীবন লাভ করতে পারে।’
এ সময় সামনে জাতীয় নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারের উন্নয়নের তথ্য প্রচার করারও আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, ‘জনগণ খুশি থাকলে, তারা ভোট দিলে, আবারও ক্ষমতায় আসব। ভোট না দিলে আফসোস নেই। দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি।’
ঈদের জামাত শেষ করেই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে একের পর এক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আগমন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী আগত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা এবং কুশলাদি বিনিময় করেন। এ সময় গণভবনের বিশাল লনটি চমৎকার সাজে সজ্জিত করা হয়।
সূত্র:হাসান আদিল-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.