গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার ঘেঁষা সীমান্ত এলাকা টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীতে দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে মাছ শিকারে যেতে পারছে না জেলেরা। এতে জেলেদের পরিবারে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ ও দুর্দিন। এর কারন খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ১৩ মে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে গভীর রাতে আনসার সদস্যকে হত্যা করে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায় সস্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্যরা। এরপর থেকে লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার, ডাকাতদের ধরতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের চোখে ঘুম নেই। দিন রাত চলছে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, পিবিআই সদস্যদের সাড়াশি অভিযান। চারিদিকে রাখা হয়েছে বিশেষ নজরদারী, সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে নাফনদীতে মাছ শিকার করা নৌ চলাচল। এতে টেকনাফ নাফনদীর কুলঘেষা জেলেদের কপালে নেমে এসেছে দু:খ দুর্দশা। পৌর শহর হাট বাজার গুলোতে দেখা দিয়েছে মাছের অকাল।
২৮ মে সরেজমিনে টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর বিভিন্ন নৌঘাট গুলো ঘুরে দেখা যায়, মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার গুলো দীর্ঘ ১৬ দিন যাবত এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাংবাদিকদের দেখে নাফনদীতে মাছ শিকার করা হতদরিদ্র বেশ কয়েকজন জেলে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন দীর্ঘ ১৬দিন যাবত নাফনদীতে আমরা মাছ ধরতে যেতে পারছি না। এখন আমরা কিভাবে চলব ছেলে মেয়েদের কিভাবে খাওয়াব এই ছিনতাই আমাদের চোখে ঘুম নেই। হঠাত্ করে কেন আমাদের পরিবারে এই দুর্দিন নেমে এল এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে?
পৌর এলাকার দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার জেলে জাফর আলম বলেন, (ও বাজি আজিয়া আঁরার কুয়ালত এ দুখ আইসে দে বর্মাইয়া রোহিঙ্গা ডাকাইত অক্কল লাই।) তারা আরার দেশত আই এন হন অপরাধ নাই তারা নগরে। ইয়বা পচার ওইতে শুরু গরি বিভিন্ন রহম মাদক বর্মাতু আনি আরার এলাকার যুবক যুবতী ওইদ্ধা নষ্ট গরি পেলাইয়ে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র এবং সস্ত্রাসী ডাকাত দলের সদস্যদেরকে ধরতে নাফনদীর সীমান্ত এলাকায় রাখা হয়েছে কড়া নজরদারী সাময়িকভাবে মাছ শিকার না করার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে নৌ চলাচল। অভিযানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে নাফনদীতে নৌ চলাচল চালু করা হবে।
You must be logged in to post a comment.