সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / পরিবেশ দূষণে সমুদ্র সৈকত

পরিবেশ দূষণে সমুদ্র সৈকত

দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ময়লা আবর্জনার স্তুপ করা হয় আর স্তুপ করা আর্বজনা পুড়ানো হয় সৈকতের বালিয়াড়িতে আর ঝাউবাগানে। এছাড়া সৈকতে রয়েছে খোলা পায়খানা। এতে একদিকে দুর্গন্ধে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে বায়ু দূষণে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও স্বাস্থ্যকর স্থান কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি দিন দিন দূষিত হয়ে উঠছে। সৈকতের নাজিরার টেক, সমিতি পাড়া, বড়ছরা ও রেজু খাল সংলগ্ন সৈকতে সহস্রাধিক বসতি গড়ে উঠেছে। এসব বসতিতে হাজার হাজার মানুষ বাস করে। আর তাদের জন্য রয়েছে শত শত খোলা পায়খানা।

পর্যটকদের প্রধান ভেন্যু লাবণী বীচ পয়েন্ট ও সুগন্ধা সী-ইন বীচ পয়েন্টের দুইটি স্থানে শ্বেত বালিয়াড়ির উপর প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনার স্তুপ করা হয়। আর এসব ময়লা আবর্জনা সৈকতের বালিয়াড়ি ও ঝাউবাগানে পোড়ানো হয়। ময়লা আবর্জনা পোড়ানোর কালো ধোয়ায় সৈকতের নির্মল বাতাস হয়ে যায় দুষিত। ধোয়া আর ময়লা আবজর্নার দুর্গন্ধ সহ্য করে পর্যটকদের ভ্রমণ করতে হচ্ছে। সী ইন পয়েন্টে ঝুপড়ি দোকানের পিছনে ময়লা আবর্জনা ডিপো করা হয়েছে। সৈকতে সব আর্বজনা এখানে স্তুপ করা হয়। এতে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।

ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে আসা মো: মিজান নামের এক পর্যটক জানান, নিরিবিলি ও নির্মল পরিবেশে বেড়ানো জন্য কক্সবাজারে এসেছি। কিন্তু রাস্তার পাশে সব ময়লা স্তুপ আর সৈকত অপরিচ্ছন্ন নয়। এছাড়া ময়লা আর্বজনা পোড়ানোর কারনে নি:শ্বাস নেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজমল হুদা জানান, সৈকত নিয়মিত পরিস্কার করা হয়। কিন্তু সৈকতের এসব ময়লা আবর্জনা কোথায় স্তুপ করা হবে তার কোন পরিকল্পনা না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা স্তুপ করা হচ্ছে। আর এসব ময়লা পুড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা ব্যবসায়ীরা। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কামরুল হাসান জানান, সৈকতে ময়লা আবর্জনা স্তুপ ও পরে এসব ময়লা পোড়ানোর বিষয়টি জানা নেই। তবে এটা যদি হয় তাতে শুধু সৈকত না আশে পাশের সব পরিবেশ দূষিত হবে। তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ ! https://coxview.com/tree-200-years-rafiq-5-2-24-1/

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ !

লামা বন বিভাগের বমু রিজার্ভ ফরেস্টের পুকুরিয়াখোলা এলাকায় অবস্থিত বৃহৎ তেলশুর গাছ দুইটি।   মোহাম্মদ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/