শিশু নির্যাতন নিয়ে সরকার হার্ডরাইনে হলেও থামছেনা শিশু নির্যাতন। এবার ৬ বছরের শিশুকে মাছ ধরতে নেওয়া প্রলোভন দেখিয়ে ৩ পাষন্ড কর্তৃক বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সালিশকারদের সমাধানের আশ্বাসে অভিযোগ পর্যন্ত করতে দেয়নি অসহায় পিতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে পিএমখালীর ধাওনখালী গ্রামে ৭ মার্চ। তবে ৯ মার্চ সকালে ২ লম্পটকে স্থানীয় সালিশে মাথা ন্যাড়া করে শাস্তি দিয়ে বিচার শেষ করেছে প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে।
নির্যাতনের শিকার শিশুর পিতা ও স্থানীয় গন্যমান্য ৩ জন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, ৭ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে ধাওনখালীর উত্তর পাড়ায় স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের ৬ বছরের শিশু খেলা করছিল। এ সময় একই এলাকার প্রবাসী নূরুল ইসলামের পুত্র ফরহাদ সিরাজুল হকের পুত্র ভুট্টো এবং মৌং আব্দুল্লাহর পুত্র মুন্না শিশুকে মাছ ধরার লোভ দেখিয়ে পাশের চিংড়ি ঘেরে নিয়ে বলাৎকার করে। পাশের কয়েকজন শিশু তা দেখে ফেলায় ৩ জনই পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন শিশুদের কাছ থেকে খবর পেয়ে শিশুটি উদ্ধার করে। ঘটনার ধামাচাপা দিতে শিশুটির বাবাকে হাসপাতালে যেতে বারণ করে এবং শিশুর প্রচন্ড জ্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৯ মার্চ সকাল ১০টায় সালিশ বসে। সালিশে ২ বলাৎকার ভুট্টো ও ফরহাদকে মাথা ন্যাড়া করে দেয় এবং অপর বলাৎকার মুন্না সালিশে উপস্থিত হয়নি বলে জানান স্থানীয় মেম্বার আব্বাছ উদ্দিন।
বিচারে কারা উপস্থিত ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে আব্বাছ মেম্বার বাড়িতে কাজ থাকায় বিচারে যায়নি বলে কৌশলে সালিশকারদের নাম এড়িয়ে যান। অসহায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় এবং স্পর্শকাতর বিষয় হওয়া সত্বেও শালিসকাররা কিভাবে বিচার করলো তা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা দরকার। ৩ লম্পট ধণাঢ্য এবং প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় শিশু নির্যাতনের সঠিক বিচার পায়নি নির্যাতিত পরিবারের শিশুটি। শিশুটি উদ্ধার করে পাষন্ডদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী।
You must be logged in to post a comment.