মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বান্দরবানের জেলার ৩টি উপজেলা লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা গুলো হচ্ছে, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সারাদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ৩টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টা থেকে এই লকডাউন শুরু হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা এই বিষয়ে আলাদা আলাদা জরুরী গণ-বিজ্ঞপ্তি জারী করেছে। ঘোষণার পরপরই কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি। ইতিমধ্যে আন্তঃযোগাযোগের বাস, জীপ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলা গুলোর প্রতিটি ছোট ছোট শহর, বাজারঘাট, মার্কেট, মল, স্কুল, পানশালা, নৈশক্লাব, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লামার সব মার্কেট বন্ধ করার পর সীমানা সংলগ্ন সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
লকডাউন চলাকালে পাবলিক বাস, জীপ, ট্রাক, ট্যাক্সি, অটোরিক্সা, মাহিন্দ্র চলাচল বন্ধ রাখার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুধু পুলিশ, স্বাস্থ্য, দমকল, বিদ্যুত, পানি, ফার্মেসি, পেট্রোলপাম্প ইত্যাদির মতো জরুরী বিভাগের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। উপজেলা প্রশাসন আরো জানায়, লকডাউন চলাকালে মুদি দোকান, খাবারের দোকান, দুগ্ধ, মাছ, মাংস ও সবজির দোকান খোলা থাকবে।
লকডাউন চলাকালে দেখা যায়, ভাড়ায় চালিত অসংখ্য মোটর সাইকেল, কিছু কিছু সিএনজি, মাহিন্দ্র ও টমটম চলাচল করছে। আতঙ্কে বাড়ি ফেরা মানুষ গুলো গন্তব্যে যেতে শুরু করেছে। কিন্তু যাত্রীবাহী কোন গাড়ি না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে অনেকে।
গাড়ি না পেয়ে হেঁটে হেঁটে চকরিয়া হতে লামা আসছেন এমন কয়েকজনের সাথে রোডে কথা হয়। তারা বলেন, হঠাৎ করে লকডাউন করায় আমরা যারা লামার বাহিরে থাকি তাদের বাড়ি ফেরা কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। কারণ আমরা যেখানে ছিলাম সেখানে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরা ছাড়া আর কোন উপায় আমাদের ছিলনা।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সব অফিস, আদালত, বাস স্টেশন ও বাজার বন্ধ রয়েছে। তবে বাজারের কিছু কিছু স্থানে মানুষের জটলা লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে জনসমাগম কমাতে প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছে বাংলঅদেশ ছাত্রলীগ লামা উপজেলা, শহর ও কলেজ শাখা।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, আমি সহ আমার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছি। হাসপাতাল খোলা রাখা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.