সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অবশেষে মুক্তি পেলেন বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেলা তিনটা পাঁচ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেয়ার পর পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির মহাসচিব তাকে গ্রহণ করেন।
এর আগে, আজ দুপুরেই কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির ফাইলে অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে ৬ মাসের জন্য। শর্ত দুটি হলো, বিদেশ যেতে পারবেনা এবং তার নিজের বাড়িতে অবস্থান করতে হবে।
এরপর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যান।
খালেদার মুক্তি নিয়ে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার শাস্তি ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে উদার নৈতিক ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আশা করি, বিএনপি এ বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সম্মিলিত উদ্যোগের সহযোগী হবে।’ আরও জানা যায়, মুক্তির পর খালেদা জিয়াকে গুলশান ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর ‘ফিরোজা’ নামের বাসায় নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি আছেন খালেদা জিয়া।
প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
খালেদার জামিনের জন্য আইনজীবীরা গত দুই বছরে বহুবার আদালতে গেছেন, কিন্তু জামিন হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে মার্চের শুরুতে খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার খবর আসে।
সূত্র:deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.