অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ :
কক্সবাজারের টেকনাফ প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের নৌ-রুটে লাইন ধরে জাহাজে উঠছেন পর্যটকরা। গত দুই এক বছর এমন দৃশ্য দেখা যায়নি এ নৌ-রুটে। কিন্তু এবার শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভিড় করছেন পর্যটকরা।
গত দুই এক বছর টানা অবরোধ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব পড়েছিল সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা ছোট দ্বীপ সেন্টমার্টিন প্রবালদ্বীপেও। তবে এ বছর পর্যটন মৌসুম শুরুর কয়েকদিন ধরে সেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। আবার আসতে শুরু করেছে বিপুল সংখ্যক পর্যটক। ফলে প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। আর হাসি ফুটেছে দ্বীপবাসীর মুখে।
নীল জলরাশির মাঝখানে প্রবাল পাথরের তৈরী এ দ্বীপটি। পর্যটকরা প্রকৃতিকে অনেক কাছ থেকে উপভোগ করার জন্য ছুটে আসেন নির্জন এ দ্বীপে।
সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসা একপর্যটকের কাছে তার অনুভূতির কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ দ্বীপে আসতেই শুরু হলো আলাদা রকম ভাললাগা। আমরা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি। কিন্তু সেন্টমার্টিন বাইরের দেশ থেকে কোন অংশে কম নয়।
রুবিনা-শফিক দম্পতি জানালেন, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যকে খূব কাছ থেকেই উপভোগ করছি। বিশেষ করে সুর্যাস্ত। আসলেই খুব সুন্দর এ দ্বীপ। একদম দারুচিনির মত।
কয়েকশ বছরের পুরনো এ দ্বীপে প্রায় দশ হাজারের অধিক মানুষের বসবাস। এখানকার মানুষের প্রধান আয়ের খাত মাছ ধরা ও পর্যটন শিল্প। তাই পর্যটক আসতে শুরু করায় দারুণ খুশি দ্বীপবাসী।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানালেন, আমরা সবসময় চাই যে, আমাদের এখানে পর্যটকে ভরপুর থাকুক। আমাদের সাধ্যমত পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাব।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় ২শ হোটেল মোটেল ও কটেজ রয়েছে। যেখানে ১০ হাজার মানুষ থাকতে পারে এমন জানালেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পর্যটক সমাগম বাড়ায় বিগত বছর গুলোর লোকসান কাটিয়ে উঠেতে পারবে বলেও জানালেন তারা।
You must be logged in to post a comment.