গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সেন্টমার্টিন যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল দুইদিন ধরে বন্ধ। তিনদিন ধরে বৈরী আবহাওয়া কারণে সাগর উত্তাল সর্তক সংকেত অব্যহত থাকায়
শনিবার থেকে দ্বীপে আটকা পড়া ১৫০ পর্যটকদের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুটি ফিশিং ট্রলারে অর্ধশতাধিক পর্যটক টেকনাফ এসে পৌছেছে। বাকী পর্যটকরা জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে এখনো সেন্টমার্টিনে হতাশায় ও আশংকায় দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে আজ রবিবার সকালে প্রায় শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে টেকনাফ থেকে ফেরত গেছে। ফলে ভরা পর্যটন মৌসুমে পর্যটন শিল্প ব্যবসায়ীদের মাঝে ধাক্কা লেগেছে এবং যতইদিন যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য শনিবার থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারনে পর্যটকবাহী কোন জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা আসা শত শত পর্যটকরা দূর্ভোগ পড়ে। দ্বীপ থেকে আসতে না পারায় ভ্রমণ পিপাসু কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার নেজাম উদ্দিন হতাশা প্রকাশ করে বলেন অনেক কষ্ট করে পেশাগত কাজ ছুটি নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে অথচ প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়া, সাগর উত্তাল হওয়ার কারণে আজ দুইদিন ধরে রয়ে গেছি। আমাদের মধ্যে ৩০/৪০ জন সহপাঠী দুটি ট্রলারে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে টেকনাফের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভাল হলে টেকনাফের রওনা দিব।
কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের পরিচালক আব্দুল আজিজ জানান, সতর্ক সংকেত অব্যাহত থাকার কারনে দুইদিন ধরে সেন্টমার্টিনে জাহাজ ছেড়ে যায়নি। তবে আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল আরম্ভ হবে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন নুরুল আমিন জানান, শুক্রবার থেকে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে এসে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ থেকে জাহাজ না আসায় দেড় শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ট্রলার নিয়ে অর্ধশতাধিক টেকনাফ ফেরত গেছে বলে জানা যায়। আর কতজন পর্যটক রয়েছে সেন্টমার্টিনে সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া ভাল হলে বাকী পর্যটদেরও টেকনাফ পাঠানো হবে।
You must be logged in to post a comment.