সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / বর্ষণে উখিয়া যেন জলাশয় : ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ

বর্ষণে উখিয়া যেন জলাশয় : ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃষ্টির পানি যেন পুকুরে পরিণত হয়েছে।

হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি। আর তাতেই উখিয়া যেন পরিণত হয় জলাধারে। এভাবে তিন দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হওয়ায় অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয়ে যায় একেকটি অস্থায়ী নদী। ৪ জুলাই বুধবার সকাল থেকে দুপুর অবধি (এই সংবাদ লেখাকালিন সময়) এমনই চিত্র ছিল উখিয়ায়। আবহাওয়া দফতরের ইনডেক্সে ভারী মাপের বৃষ্টি। ভোরের প্রথম দফার বর্ষণের পানি সরতে না সরতে হানা দেয় সকালের বৃষ্টি। আর এতে উখিয়ার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয় একেকটা জলাশয়।কোথাও কোথাও পানি হাঁটুর সমান।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প, বালুখালী ডি ব্লক, থাইংখালী তাজিনিমারখোলা ক্যাম্পসহ অধিকাংশ ক্যাম্পে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এনজিও কর্মীদের সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ শহিদ জাফর আলম আরাকান সড়কের ওপর হাঁটুপানি জমে থাকার খবর পাওয়া গেছে। এই সড়কের দুই পাশে ও বিভিন্ন খালে-বিলে পানি থৈ থৈ করতে দেখা যায়। একই চিত্র ছিল কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে এবং সোনাইছড়ি এলাকায়। রেজু খালের মোহনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।

সোনাইছড়ি এলাকার জাফরের স্ত্রী মাজেদা আক্তার বলেন, গেল বছর তার বাড়ির সামনে রেজু খালের পানির স্রোতে ভেসে নিয়ে গেছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে। এখানে সামান্য বৃষ্টেই জমে হাঁটু পানি। তখন গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে রিকশায়ও চলাচল করা সম্ভব হয় না। হাজির পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আয়াছ বলেন, এমনিতেই রাস্তার বেহাল দশা, বৃষ্টি হলে তো আর কথায় থাকে না। এখানে আত্মীয় স্বজনেরা বেড়াতে আসতে চাইলেও রাস্তার কারণে ঈদেও অনেকে বেড়াতে আসেনি।

কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মাঝি মোরশেদ আলম জানান, ক্যাম্পে সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে যায়। অন্যান্য ক্যাম্পেও একই অবস্থা থাকে। বেশকিছু থাকার ঘরের নিচ তলাও তলিয়ে যায়। পাহাড়ি পিছলা পথে অনেক রোহিঙ্গা শিশু আহত হয়েছে। তবে বিশেষ বিশেষ ক্যাম্পে রাস্তার পানি সরাতে দেখা যায় সেবা সংস্থার লোকজনদের। করইবনিয়া থেকে কুতুপালং এলাকার বেশ কয়েক জায়গায় পানি উঠে যায়।

পালংখালী আন্জুমানপাড়া সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় স্থানীয়রা কষ্টে আছেন বলে জানালেন, সামাজিক সংগঠনের নেতা নুরুল আলম। বৃষ্টির কারণে অনেকেই ঘর থেকে বাহির হননি। প্রচন্ড বৃষ্টিতে সকাল থেকেই ছিল যানবাহনের সঙ্কট। চাকরিজীবি মানুষকে পরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এরই মধ্যে সিএনজি ও টমটম চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে নিয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে ক্যাম্পে চাকরিরত এনজিও নারী-পুরুষের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।

ব্যাংকার মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, অনেক্ষণ ধরে গাড়ির জন্যে অপেক্ষায় আছি। বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় কাজে একটু ধীর গতি দেখা দিয়েছে। উখিয়া কেজি স্কুলের শিক্ষক ফরিদুল আলম বলেন, বৃষ্টির কারণে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় অনুমোদন ছাড়াই ৪১টি ভাটায় ইটপ্রস্তুত শুরু https://coxview.com/brickfield-rafiq-19-12-2023-1/

ফাইতংয়ে ৫ কিলোমিটার জায়গায় গড়ে উঠেছে ৩০টি ইটভাটা

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :কোন প্রকার অনুমতি, অনুমোদন ও ছাড়পত্র ছাড়াই বান্দরবানের লামা উপজেলায় ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/