ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থন সত্বেও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে কলকাতার মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ভারত উভয় দেশে তীব্র বিতর্কের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে আত্রাই নদের আরও বেশি পানি দাবি করলেন মমতা।
৩ মে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশী হারি নারায়ণপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দাবি তোলেন। এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেও চাপ দেবেন বলে জানান তিনি।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে গত মাসে শেখ হাসিনার ভারত সফরেও তিস্তা চুক্তি করা যায় নি। ওই সফরে নরেন্দ্র মোদি ও মমতার সাথে বিষয়টি নিয়ে একসাথে আলোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলার মোহনপুরের আত্রাই নদে একটি রাবার ড্যাম তৈরি করেছে। পশ্চিমবঙ্গেকে না জানিয়ে এ ড্যাম নির্মাণ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আত্রাই নদে আমাদের না জানিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বাঁধের ফলে নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, কখনো আবার বাঁধ থেকে পানি ছেড়েও দেওয়া হচ্ছে। ফলে আচমকা প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।’
রাজ্যকে না জানিয়ে ওই বাঁধ দেওয়া কেন হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের কাছে জানতে চান তিনি। মমতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। ওদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। কিন্তু এ বিষয়টিও দেখতে হবে। আর এটা দেখার কথা কেন্দ্রের।’
তিনি বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে বালুঘাট ও আশপাশের এলাকা যেন খরায় না পড়ে সেজন্য আত্রাই দিয়ে আরও বেশি পানি ছাড় দেওয়া উচিত বাংলাদেশের।’
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে উদ্ধৃত করে টিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমি জানি, আত্রাই নদে পানির অভাব গুরুতর আকার ধারণ করেছে। আমি জেলা প্রশাসক এবং প্রধান সচিবকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলেছি। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়, তাই আমি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব।’
এদিকে ৪ মে বৃহস্পতিবার মালদায় সরকারি প্রশাসনিক বৈঠক ও এক জনসভায় আম উৎপাদনকারীদের উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, তারা যেন বাংলাদেশকে রফতানির একমাত্র বাজার না ভাবেন। তার মতে, ‘নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোতে নিজেদের রফতানির বাজার সম্প্রসারণের সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা উচিত আম ব্যবসায়ীদের।’
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.