সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদের মেয়াদ চার বছর। ২০১৩ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া নাজমুল হাসান পাপনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের অক্টোবরে। নতুন মেয়াদে বিসিবি সভাপতি পদে আর থাকতে চান না পাপন।
সোমবার নিজ কার্যালয় বেক্সিমকোর সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানালেন নাজমুল হাসান পাপন এমপি।
বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়াও বেক্সিমকো গ্রুপের বড় পদে কাজ করেন পাপন। এছাড়া তিনি জাতীয় সংসদেরও সদস্য। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করাটাকে শক্ত বলে মনে করেন তিনি। তাই এই তিনটির মধ্য থেকে দু’টি বেছে নেবেন বলে আভাস দিলেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি।
এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আমার বেশ সমস্যা হচ্ছে। একটা হচ্ছে আমি একজন চাকুরিজীবি। তার চেয়েও বড় কথা হলো আমি একজন সংসদ সদস্য। আমার এলাকায় কাজ করা ও সংসদে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জন্য কাজ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সভাপতি হিসেবে ক্রিকেটের জন্য সময় দেয়া আমার পক্ষে এক কথায় অসম্ভব। কেননা আমি একদমই সময় পাই না। সবসময়ই আমাকে দৌঁড়ের মধ্যে থাকতে হয়। আমি আইসিসি সভা শেষ করে মাত্রই আসলাম, এখন যেতে হবে টেস্টের জন্য হায়দরাবাদে। ওখান থেকে দেশে ফিরে ১৫ তারিখের মধ্যে চাকুরির সুবাদে আবার যেতে হবে আরেক দেশে।’
পাপন আরও বলেন, ‘এতে করে কোনো মানসিক সমস্যা হয় না, তবে শারীরিকভাবে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। কেননা আমাকে ভ্রমণ অনেক বেশি করতে হচ্ছে। যে সমস্ত জায়গায় সময় দেয়া দরকার বিশেষ করে আমি মনে করি চাকুরিতে আমি সময় দিতে পারছি না। আমার এলাকায় তো একেবারেই না। আমার যে সময় আছে তার ৭০-৮০ ভাগই ক্রিকেট নিয়ে বসে থাকতে হয়। কারণ এটা এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যেখানে সময় দিতেই হয়। তবে আমি উপভোগ করি, ভালো না লাগলে তো আর করতে পারতাম না। তবে সমূহ সম্ভাবনা আছে নিজের তরফ থেকে নতুন করে আর মেয়াদ না বাড়ানোর।’
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.