অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট প্রেগন্যান্সির সময় হবু মা ও তার সন্তানকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, ছবি: সংগৃহীত
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে একটি প্রচলন এবং ধারণা চলে এসেছে যে একজন মা কোনভাবে এইচআইভিতে সংক্রমিত হলে তার অনাগত সন্তানও সেটির ভুক্তভোগী হবেন। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। হিউম্যান ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস(এইচআইভি) এখন আর মাতৃকূলের জন্যে অভিশাপ নয়। বিশেষজ্ঞজনের মতে, কয়েকটি ওষুধ ও চিকিৎসার সমন্বয়ে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যেতে পারে।
অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট প্রেগন্যান্সির সময় লেবার পেইন ও ডেলিভারির মাধ্যমে হবু মা ও তার সন্তানকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই চিকিৎসা কয়েকটি অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ওষুধের সংমিশ্রণ যা ধীরে ধীরে এইচআইভির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে এবং এতে করে শিশুটি অভিশাপ থেকে বেঁচে যায়।
সাম্প্রতিককালের কিছু গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, মা তার সন্তানকে স্তনদানের মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটুকু কমিয়ে ফেলেন। এটি শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে দেয়। বেশ ফলপ্রসূ হারে শিশু এইচআইভির অভিশাপ থেকে রক্ষা পায়।
যেই শিশুগুলো এইচআইভি নিয়ে জন্ম নিবেন, তাদের জন্মের ছয় থেকে বারো ঘণ্টা পর রেট্রোভির নামে একটি ওষুধ দেওয়া হবে। এই ওষুধ তাদের মায়ের থেকে সংক্রমিত ভাইরাস থেকে রক্ষা করবে।
নার্চার আইভিএফ সেন্টারের গাইনিকলোজিস্ট ড: অর্চনা ধাওয়ান বাজাজ বলেন, আমি এইচআইভি আক্রান্ত মায়েদের সফলভাবে অপারেশন করেছি। এটি মোটেও চ্যালেঞ্জিং কোন ব্যাপার নয় বরং আমি এটা জেনে স্বস্তি পাই যে বাচ্চাগুলো সুস্থ ও সুন্দরভাবে জন্মলাভ করতে পারছে।
প্রত্যেক মা-ই চান তার সন্তান যেন ভালভাবে পৃথিবীতে আসে, সমাজে যেন একটি সুন্দর স্থান পায়। সেজন্য কনসিভ করার আগেই তার কিংবা তার সঙ্গীর এইডস আছে কি না তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তবেই নিরাপদভাবে সন্তান পৃথিবীতে আসবে।
একজন এইচআইভি আক্রান্ত মা থেকে তিনভাবে সন্তান সংক্রমিত হয়। সেগুলো হল: প্রেগন্যান্সির সময়ে, স্তন্যদানের সময়ে এবং নরমাল ডেলিভারির সময়ে।
সূত্র:বুশরা আমিন তুবা/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.