অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের শহরগুলোয় শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। একই ঘটনায় আরও অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ওইসব এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরকানসাস, আলাবামা, টেনেসি, মিসিসিপিসহ কয়েকটি রাজ্যে অনেকে ঘর-বাড়ি হারিয়ে ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। বহু মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার শক্তিশালী এই টর্নেডো আঘাত হানে। শনিবার তা ক্রমেই দেশটির আরকানসাস অঙ্গরাজ্য হয়ে পূর্বদিকে ধেয়ে যেতে থাকে। এতে অসংখ্য বাড়িঘর ছাড়াও গাছপালা গুঁড়িয়ে যায়।
দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রচণ্ড ঝড়ে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন লোকের বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন।
শক্তিশালী এই টর্নেডোয় শনিবার আরকানসাসের গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স শুধু তার রাজ্যেই অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া লিটল রক থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে উইনে আরকানসাসে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নর্থ লিটল রকে একজন নিহত হওয়া ছাড়াও অন্তত ৫০ জনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে আরকানসাসসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে একদিনে ৪৩টি টর্নেডোর প্রতিবেদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্টর্ম প্রিভেনশন সেন্টার। আর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ২ কোটি ৮ লাখ মানুষকে টর্নেডোর উচ্চ ঝুঁকির জন্য সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর। সাউথ-ইস্ট ইন্ডিয়ানা, নর্থ কেন্টাকি এবং ওহাইওর পশ্চিমাঞ্চলে ঝড় আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
You must be logged in to post a comment.