সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / সত্যিই কি সংঘাত চায় না ইরান

সত্যিই কি সংঘাত চায় না ইরান

ইরাকে জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে ইরানের। যুদ্ধ পূর্বাবস্থার ১০ দিনের মাথায় কাতার জানিয়েছে, ইরান উত্তেজনা প্রশমনের আভাস দিয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি তেহরান সংঘাত এড়াতে চায়? প্রশ্নটি দেখা দিচ্ছে কারণ, এমনকি রবিবারও ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর রকেট হামলা হয়েছে। দায় স্বীকার না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, তেহরানের শক্তিই এ হামলা করেছে। আবার তেহরানের মিত্রবাহিনী লেবাননের হিজবুল্লাহ হুশিয়ারি দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটিই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।

৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আকস্মিক বিমান হামলায় বাগদাদে বিমানবন্দরে নিহত হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল। সোলেইমানিকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতার পরই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বলে বিবেচনা করা হতো। তার হত্যার বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। ৮ জানুয়ারি ইরাকে দুটো মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে তেহরান। প্রথমে তারা ৮০ মার্কিন সেনাকে হত্যার দাবি করে, যদিও পরে নিহতের খবরটি আর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ওই দিনই মার্কিন যুদ্ধবিমান ভেবে ভুল করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেনের উড়োজাহাজ ভূপাতিত করে ইরান। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে সরকার। চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভও।

এমন সংকটের মধ্যে রবিবার সফররত কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। সেখানে তিনি সংঘাত এড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। আবার ইরানের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে দেশটির। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্রটি ইরানের সঙ্গে ভাগাভাগি করছে কাতার। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ইরান সফরে যান। ইরানে এটি তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর। চলমান সংকট সমাধানে তিনি মধ্যস্থতা করছেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনার পর শেখ তামিম বলেন, এই আঞ্চলিক সংকটের ‘একমাত্র সমাধান’ হিসেবে সংঘাত এড়ানোর পক্ষে তারা একমত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষের সংঘাত এড়ানো আর সংলাপ চালিয়ে যাওয়া যে এসব সংকটের একমাত্র সমাধান, এ বিষয়ে আমরা একমত।’

রুহানি বলেছেন, এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে…পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য আমরা আরও আলোচনা ও সহযোগিতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গতকাল ইরানের পার্লামেন্টে রেভোল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি বলেন, গত বুধবার ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার উদ্দেশ্য মার্কিন সেনাদের হত্যা করা ছিল না। তিনি বলেন, ‘শত্রু সেনাদের হত্যা করা প্রকৃতভাবে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। সেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।’ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি দাবি ওয়াশিংটনের।

সংকটের মধ্যে ভুল করে ভূপাতিত করা বিমানের ১৭৬ আরোহীর সবাই মারা যান। নিহত যাত্রীদের বেশিরভাগই ইরানি ও ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয়। শুরুতে অস্বীকার করলেও পশ্চিমা চাপের মুখে শনিবার এক বিবৃতিতে ইরানের সামরিক বাহিনী ভুল করে উড়োজাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা স্বীকার করে।

 

সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/06/Missile-Iran.jpg

শব্দের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি দ্রুতগামী ইরানের হাইপারসনিক

‘ফাত্তাহ’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে আইআরএনএ। অনলাইন ডেস্ক : ইরান তাদের প্রথম হাইপারসনিক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/