সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / সরকার গঠনের অনুমতি চাইবেন থেরেসা মে

সরকার গঠনের অনুমতি চাইবেন থেরেসা মে

থেরেসা মে। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলেও থেরেসা মে সরকার গঠনের অনুমতি চাইবেন। আজই বাকিংহাম প্যালেসে গিয়ে রানীর সঙ্গে দেখা করার কথা আছে তার। থেরেসা মে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নস্ট পার্টির কাছ থেকে সমর্থনের আশা করছেন। নির্বাচনে তারা ১০টি আসন পেয়েছে।

এ নির্বাচনে থেরেসা মে’র দল কনজারভেটিভ পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, এমন আশা করা হলেও ভোটের ফলাফল সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দিয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে অন্তত ৩২৬টি আসনে জয়ের বাধ্যবাধকতা থাকলেও থেরেমা মে’র দল জিতেছে ৩১৮টি আসনে। লেবার পার্টি ২৬১ টি আসনে জয়লাভ করেছে। এখনো একটি আসনের ফলাফল বাকী আছে। অর্থাৎ, থেরেসা মের কনজারভেটিভ দলের আটটি আসন ঘাটতি রয়েছে।

এদিকে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন থেরেসা মে’কে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তার দল সরকার গঠন করতে প্রস্তুত আছে।

কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় যুক্তরাজ্যে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট স্পষ্ট হয়ে গেছে এখন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও কনজারভেটিভরাই সংসদে বৃহত্তম দল হবে।

বিদায়ী সংসদে কনজারভেটিভ দলের ছিল ৩৩০টি আসন, লেবার পার্টির ২২৯টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্টদের ৫৪টি আর লিবেরাল ডেমোক্র্যাটদের নয়টি। সে সংসদে কনজারভেটিভদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল।

ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হলে কী হবে?

বিবিসি লিখেছে, এধরনের পরিস্থিতি হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবেন এবং ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটেই বসবাস করবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কারা নতুন সরকার গঠন করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

এক্ষেত্রে দলের নেতাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলবে। তারা চেষ্টা করবে জোট গঠন করে একটা সরকার গঠন করতে অথবা কনজারভেটিভ দলের নেতা থেরেসা মে অথবা লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে প্রধানমন্ত্রী করে হয়ত কোনো একটা সমাঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে।

অথবা দুই দলের মধ্যে কোনো একটি দলের নেতা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে তারা সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবেন এই ভিত্তিতে যে যখন সংসদে আইন পাশ করতে হবে, তখন ছোট দলগুলোর সমর্থন তারা নিশ্চিতভাবে পাবেন।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সংসদের বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে থেরেসা মে প্রথম সরকার গঠনের সুযোগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকেই তিনি জোট করার জন্য অন্য দলগুলোর সাথে আলাচনা করবেন। তবে এ চেষ্টায় ব্যার্থ হলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

তবে থেরেসা মে’র পাশাপাশি একই সময়ে জেরেমি করবিনও অন্যান্য দলের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখতে পারবেন।

তবে অালোচনা ও দরকষাকষির জন্য তারা অনির্দিষ্টকাল সময় পাবেন না। প্রথম দফায় থেরেসা মে ১৩ জুন পর্যন্ত সময় পাবেন। এ সময়ের মধ্যেই তাকে নিশ্চিত করতে হবে যেকোনো আইন পাশ করার জন্য তার হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যাক (৩২৬) আসন আছে।  ১৯শে জুন রানি তাঁর ভাষণের মাধ্যমে সংসদের অধিবেশন শুরু করবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ডেভিড ক্যামেরন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেন। ২০১৬ সালের জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা না থাকার প্রশ্নে গণভোট(ব্রেক্সিট) দেন তিনি। তিনি ইইউতে থাকার পক্ষে অবস্থান নিলেও গণভোটে অপ্রত্যাশিত ফলাফল আসায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ও রাজনীতি থেকে অবসরে যান। এরপর প্রধানমন্ত্রী হন থেরেসা মে। ব্রিটেনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২০ সালে হওয়ার কথা থাকলেও ব্রেক্সিটের দর কষাকষিতে নিজের অবস্থান সুসংহত করার জন্য তিনি অাচমকাই ৮ জুন আগাম নির্বাচন আহবান করেন।

সূত্র:মিজানুর রহমান/priyo.com,ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার মমতাজুল ইসলামের; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/press-conference-election-sagar-30-4-24/

ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার মমতাজুল ইসলামের

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে চেয়ারম্যান পদের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/