অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার সময়কার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের। তিনি জানান,গত ৩১ জুলাই, কক্সবাজার শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্যদের তল্লাসি চৌকিতে গাড়ি থামান মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো. রাশেদ খান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা ছেড়ে দিলেও ড্রাম ফেলে পথ রোধ করে টেকনাফ থানা পুলিশ।
সিফাত বলেন, ‘আমাদের হাতে ট্রাইপড ছিল, সম্ভবত এটা তারা ভুল বুঝতে পারে। গাড়িতে নামার সময় আমাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।’
মেজর (অবঃ) সিনহার সফরসঙ্গী সিফাত বলেন, ‘গাড়ি থেকে নামতেই গুলির শব্দ, তারপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য। যেন কল্পনাকেও হার মানায় সেদিনের ঘটনা।’
সিফাত বলেন, ‘উনি (সিনহা) নামার সময়ে দুই হাত উঁচু করে নামেন। এরপর আমি পিছনে চলে যাই। কিন্তু গাড়ির কারণে আমি আর কিছু দেখতে পারি নাই। যখন নামেন তখন বলেন, কাল্ম ডাউন, কাল্ম ডাউন আওয়াজ শুনতে পাই। যে অফিসার বন্দুক তাক করেছিলেন (তিনি বলছিলেন)।এর ভিতরে গুলির শব্দ শুনি। পরে দেখি সিনহা সাহেব শুয়ে পড়েন; আমি ভাবছি; হয়-তো উনার শরীরে গুলি লাগেনি। ফাঁকা আওয়াজ হয়েছে। তারপর দেখি উনার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে।’
সিফাতের দাবি, সিনহার ব্যক্তিগত অস্ত্রটিও ছিল গাড়িতে, সিনহা নেমেছিলেন হাত উঁচু করেই।
আরো পড়ুন : ‘মৃত্যুহার কম হওয়াতেই করোনা ব্রিফিং বন্ধ হয়েছে’
সেদিনের পুরো ঘটনার সাক্ষী সিফাত গত ১০ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। যদিও পুরো ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরতে ক্ষানিকটা সময়ও চেয়েছেন সিনহার সঙ্গী সিফাত ও শিপ্রা।
সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.