করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে চলমান লকডাউন ছয় মাস অব্যাহত থাকলে ৭০ লাখ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটতে পারে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।
উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়া ও মেয়ে শিশুর প্রজনন স্বাস্থ্যে ব্যাঘাত- মূলত এ বিষয়গুলো নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউএনএফপিএ।
ইউএনএফপিএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সঙ্কটের কারণে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের ১১৪টি দেশে ৪৭ মিলিয়ন নারীর আধুনিক জন্মনিরোধক পাওয়ারে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং অনিরাপদ গর্ভপাতের হার বাড়বে।
ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের বিদ্যমান লকডাউন ছয় মাস অব্যাহত থাকলে বিশ্বে অতিরিক্ত ৭০ লাখ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং অতিরিক্ত ৩ কোটি ১০ লাখ সহিংসতার ঘটনা ঘটবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে গত ২৮ এপ্রিল ‘ইমপ্যাক্ট অব দ্য কোভিড ১৯ প্যানডেমিক অন ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড এনডিং জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারেজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সংস্থাটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সঙ্কটের কারণে পরিবার পরিকল্পনার সরঞ্জামে ঘাটতি বা অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এবং অন্যান্য সহিংসতা বেড়ে যেতে পারে।
ইউএনএফপিএ’র নির্বাহী পরিচালক নাটালিয়া কানেম বলেন, নতুন তথ্য উপাত্তে দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে নারী ও মেয়েদের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলছে করোনাভাইরাস। মহামারিটি বৈষম্যকে আরও গভীর করছে। লাখ লাখ নারী ও মেয়ে এখন তাদের পরিবার পরিকল্পনা এবং তাদের দেহ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামর্থ্য হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.