মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
শরৎ আসলেই আমাদের মাঝে মায়ের আগমন ঘটে। মা আসেন অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির আর্বিভাব ঘটাতে। আমরা যারা সমাজে সুশৃঙ্খলভাবে বসবাস করিসবাই চাই মা অশুভ শক্তিকে পরাভুত করে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসুক। বাঙ্গালীর উৎসব মানেই সম্প্রীতির অপূর্ব বন্ধন। তেমনি দূর্গোৎসবকে ঘিরেও সম্প্রীতির বন্ধন রচিত হয়েছে।
২৪ অক্টোবর শনিবার সকালে চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের পূজা মন্ডপ পদির্শনে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) তৌফিকুল আলম এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা যারা পুলিশে চাকুরী করি সবাই মায়ের ব্রত পালনে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজ থেকে অশুভ শক্তি, অপশক্তি, উচ্ছৃঙ্খলতার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি। জীব আত্মার সাথে যদি পরমাত্মার মিলন ঘটাতে পারি তাহলেই মায়ের আগমন সফল হবে।
চকরিয়া পৌরসভা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ণ কান্তি দাশের সঞ্চালনায় মন্ডপ পরিদর্শন পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলার প্রায় ৪৬টি পূজা মন্ডপে মায়ের আরাধনা হচ্ছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যাতে দূর্গোৎসব শেষ করতে পারি সেজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় তিনি বিশ্বব্যাপী যে করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে পরিত্রণের জন্য তিনি মায়ের চরণে প্রার্থনাও জানান।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির আরো বক্তব্য রাখেন- চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, চকরিয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি প্রদীপ কান্তি দাশ, অর্থ-সম্পাদক সুজিত দাশ, চকরিয়া কেন্দ্রী হরি মন্দির দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুজিত দাশ, সহ-সভাপতি রিপন বসাক, ডাবলু দাশ, তনু চৌধুরী, প্রবাসী খোকন সুশীলসহ চকরিয়া থানা পুলিশের কর্মকর্তারা।
You must be logged in to post a comment.