শরৎ বললে প্রথমেই আপনার চোখে কী ভেসে ওঠে বলুন তো? সবার আগে ভাবছেন নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘের রাশি, এরপরই মনে আসে বাতাসে এলোমেলো কাশবনের কথা, তাই না? কিন্তু সেই শরৎ কোথায়? কাশবনই বা কোথায়? এবারের বর্ষায় জেনে ভেসে চলে গেছে শরৎ, অতিবৃষ্টির আড়ালে চাপা পড়ে গেছে শরতের প্রথম দিবসগুলি।
কবি ফররুখ আহমদের শিশুতোষ এই কবিতাটি মনে পড়ে?
বিষটি এলো কাশবনে
জাগলো সাড়া ঘাস বনে
বকের সারি কোথারে
লুকিয়ে গেল বাঁশ বনে।
নদীতে নাই খেয়া যে,
ডাকলো দূরে দেয়া যে,
কোন্ সে বনের আড়ালে
ফুটলো আবার কেয়া যে!
কাশবনের নাম শুনেই ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে শহরের বাইরে? ঢাকার আশেপাশে বেশ কিছু জায়গায় কাশবন দেখা যায় শরতে। এর মাঝে আছে দিয়াবাড়ি, ৩০০ ফিট রাস্তা, আফতাব নগর আর মাওয়া ঘাটের ওদিকটা। কিন্তু দুঃসংবাদ হলো, এই ঘোর বৃষ্টিবাদলার মাঝে কাশবন তো দুরের কথা, একগুচ্ছ কাশফুলও খুঁজে পাবেন না আপনি। বৃষ্টি শেষ হয়ে একটু শুকনো হয়ে এলে তবেই তারা মাথা তুলবে।
ঢাকা শহরে, এমনকি সারা দেশের কোথাও আবহাওয়া দেখে বোঝার উপায় নেই যে আজ শুরু হচ্ছে শরৎকাল। বৃষ্টি এত নিয়মিত আসছে যে বর্ষার আমেজ থেকে বের হতে পারছেন না কেউ। যে সময়ে আকাশে ঝলমলে রোদ্দুর থাকার কথা তখন দিগন্তজোড়া গোমড়া মেঘ। অহর্নিশ বৃষ্টি, পানিতে থৈ থৈ রাস্তা- শুধু কী তাই?
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। উত্তরাঞ্চলে বন্যায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে, আর উদ্বাস্তু হয়েছেন আরো অনেক মানুষ। সব মিলিয়ে শরতের শুভ্রতা এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ঋতু পরিবর্তন হবেই। যতই মনে হচ্ছে বাইরে ঘোর বর্ষা, কিছুদিনের মাঝেই ঋতু পরিবর্তনের আভাস পেতে শুরু করবেন। এ সময়টাতে অনেকেই একটি জ্বরজারিতে ভোগেন। কাশফুল দেখতে ছুটলে নিজের যত্নটাও নিতে ভুলবেন না যেন। শুভ হোক আপনার শরৎ।
সূত্র:কে এন দেয়া/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.