সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / কোভিড-19 (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত / অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো এত অ্যান্টিবডি নেই অন্য টিকায়

অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো এত অ্যান্টিবডি নেই অন্য টিকায়

 

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2021/08/veccine-astrazeneca.jpg?resize=620%2C354&ssl=1

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিয়েছেন তাদের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো এত অ্যান্টিবডি অন্য কোনো টিকাগ্রহণকারীদের দেহে পাওয়া যায়নি।

গবেষণায় বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় দেশে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারতে প্রস্তুত করা কোভিশিল্ড দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে আরও কয়েক ধরনের টিকা এ কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। টিকাদানের উদ্দেশ্য হলো মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা, যা ভবিষ্যতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এবং আক্রান্ত হলেও রোগের তীব্রতার সম্ভাবনা কমায় বলে আগের গবেষণায় জানা গেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে ‘Haematological Parameters and Antibody Titre After Vaccination Against SARS-CoV-2’ শীর্ষক গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন এমন ২০৯ জন এ গবেষণায় স্বেচ্ছায় অংশ নেন।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ এবং অর্ধেকের বেশি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশের আগে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আর অর্ধেকেরও বেশি অংশগ্রহণকারী আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন।

তবে এ ধরনের রোগের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকাগ্রহণের পর অ্যান্টিবডি তৈরিতে কোনো পার্থক্য দেখতে পায়নি গবেষকরা। তারা বলেন, ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী টিকাগ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের সবার ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ ছিল। এমনকি রক্ত জমাট বাঁধা বা এ ধরনের অন্য কোনো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গবেষণাকালীন সময়েও দেখা যায়নি।

গবেষণায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির কোনো সম্পর্কও পাওয়া যায়নি। সার্বিক বিবেচনায় টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যারা আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

এ গবেষণা থেকে বাংলাদেশের জনগণের ওপর টিকা প্রয়োগের পর কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায় বলেও দাবি করেছে গবেষক দল। তবে সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পরিবর্তন এবং টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য টিকার অ্যান্টিবডি তৈরির কার্যক্ষমতা পর্যালোচনার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।

গবেষণায় আরও নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ সহ-গবেষক হিসেবে প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিলেন।

 

 

 

সূত্র: somoynews.tv/news – ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওতে অর্ণবের উদ্যোগে কোভিড প্রতিরোধে টাউন বৈঠক অনুষ্ঠিত

এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ বিষয়ক টাউন হল বৈঠক অনুষ্ঠিত ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/