সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / কোভিড-19 (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত / কারফিউ, ১৪৪ ধারা থেকে কি আলাদা লকডাউন? এর মানেই বা কি

কারফিউ, ১৪৪ ধারা থেকে কি আলাদা লকডাউন? এর মানেই বা কি

সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় :

সোমবার থেকে জারি হচ্ছে লকডাউন। রবিবার জারি হয়েছিল জনতা কারফিউ। বেশ কিছু রাজ্যে এই করোনা ভাইরাস ঠেকাতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু কারফিউ, ১৪৪ ধারা এবং লকডাউন-এর প্রত্যেকটির অর্থ আলাদা। জেনে নিন।

কারফিউ কী ?

কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে চারজনের বেশী মানুষকে একত্রে কোনো পাবলিক প্লেসে জমায়েত হওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য কারফিউ জারি করা হয়। কোনো জায়গাতে দাঙ্গা বা জনরোষ যখন ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দেয় আর পুলিশ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে অসমর্থ হয় তখন এই আইন জারি করে। সমস্যার মাত্রার ওপর কাউফিউ এর সময়কাল নির্ধারণ করা হয়।

কোনো কোনো জায়গায় রাতে কারফিউ লাগে..কোনো জায়গাতে দিনে কয়েক ঘন্টার জন্য জারী করা হয়…কোনো কোনো সময় অল্প সময়ের জন্য কারফিউ তুলে দেওয়া হয় যাতে মানুষ নিজের বাজরহাটের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারে। সবাইকে বাড়ীর ভেতরে থাকার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে। এই কারফিউ দেওয়ার কারণ হলো কেউ যেন ঘরের বাইরে জমায়েত হয়ে দল বেঁধে আবার কোনো অশান্তির সৃষ্টি করতে না পারে।

১৪৪ ধারা কী?

এই ধারায় সরকারকে উপদ্রবের আশঙ্কায় নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করে পাঁচ বা তার বেশি সংখ্যক ব্যক্তির জমায়েতের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মোবাইল ফোন সংস্থাগুলিকে একটি বা একাধিক ছোট বা বড় জায়গা জুড়ে ভয়েসকল, এসএমএস বা ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেবার নির্দেশ দেয়। ১৪৪ ধারা জারি হলে কোনও অসামরিক ব্যক্তি লাঠি, ধারালো অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জনবহুল স্খানে যেতে পারেন না। একমাত্র নিরাপত্তা বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী বা পুলিশ এই অস্ত্র বহনের অধিকারী থাকে।

লকডাউন কী?

লকডাউন একটি জরুরী ব্যবস্থা, যেটা সামান্য ভাবে মানুষকে একটি নিশ্চিত এলাকায় থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সামান্য ভাবে এই প্রটোকলের শুরু প্রশাসন দ্বারা করা হয়। এর ঘোষণা জন সাধারণকে বড় দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর জন্য করা হয়। ফুল লকডাউনের মানে, মানুষ নিজের ঘর থেকে বের হতেই পারবে না। মেডিকেল এমার্জেন্সি আর খুব দরকারি না হলে কোনমতেই ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা। লকডাউনে সরকারের সবথেকে বড় উদ্দেশ্য হল, মানুষ যেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় না যায়, বিশেষ করে সরকার দ্বারা দেওয়া আদেশকে কড়া ভাবে আমল করা। সংক্রমণ আটকানোর জন্য যেই যেই উপায় স্থানীয় প্রশাসন নেবে, সেগুলোতে আমল করা খুবই জরুরী।

 

সূত্র:kolkata24x7.com – ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

১০ ফেব্রুয়ারি; ইতিহাসের এইদিনে https://coxview.com/radamel-falcao-footballar-birthday-day/

১০ ফেব্রুয়ারি; ইতিহাসের এইদিনে

রাদামেল ফালকাও গার্সিয়া সারাতে (রাদামেল ফালকাও নামে সুপরিচিত) একজন কলম্বীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি ১৯৮৬ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/