ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ প্রায় আট মাস পরে মুক্তি পেয়েছেন। জননিরাপত্তা আইনের (পিএসএ) অধীনে অভিযোগ প্রত্যাহার করার পরে মঙ্গলবার বন্দিদশা থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পরে ওমর আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়েছিল। এর আগে গত ১৩ মার্চ জম্মু-কাশ্মীরের আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। তবে এখনও আটক করে রাখা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতিতে।
মুক্তি পাওয়ার পর এক টুইট বার্তায় ওমর আবদুল্লাহ লেখেন, ‘২৩২ দিন পরে আমি হরি নিবাস ছাড়ছি আজ। এটা সম্পূর্ণ একটা নতুন পৃথিবী। ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট থেকে এই পৃথিবী সম্পূর্ণ আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমি জানতে পারলাম যে আমরা জীবন এবং মৃত্যুর যুদ্ধ করছি। যাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে তাদের এই সময়ে মুক্তি দেয়া উচিত। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের সরকারের আদেশ পালন করা উচিত।’
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রীকে আটক রাখার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিলেন, ‘আপনারা যদি ওমর আবদুল্লাহকে মুক্তি দিতে চান তবে তাকে শিগগিরই মুক্তি দিন, অন্যথায় আমরা তার বোনের আবেদনের শুনানি করব। সরকারি আইনজীবীকে কাশ্মীরে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পরে ওমর আবদুল্লাহর মুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানানোর নির্দেশও দেন শীর্ষ আদালত। এরপরেই ওমর আব্দুল্লাহর মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্র:deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.