কোরবানি দেয়ার পর গরুর মাংস বণ্টন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোরবানির মাংস যদি সঠিকভাবে বণ্টন করা না যায়। তবে, কোরবানি কবুলের শর্ত পূরণ হবে না। তাই মাংস বণ্টনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
কোরবানির মাংস বণ্টনের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট নিয়ম। কোরবানির মাংস যদি সঠিকভাবে বণ্টন না করা হয়, তবে কোরবানি কবুল হয় না।
রাসূলুল্লাহ স. কোরবানির গোশত সম্পর্কে বলেছেন ‘তোমরা নিজেরা খাও ও অন্যকে আহার করাও এবং সংরক্ষণ কর। [বোখারি-৫৫৬৯]
আব্দুল্লাহ বিন অমর (রাঃ) হতে একটি বক্তব্য পাওয়া যায় যেখানে তিনি বলেছেন, কোরবানির পশু হতে ১/৩ তোমার পরিবারের জন্য, ১/৩ তোমার আত্মীয়-প্রতিবেশীর জন্য, ১/৩ গরিবদের জন্য। তাহলে সাহাবাদের আমল থেকে পরিমাণ নির্দিষ্ট করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
তিনভাগে ভাগ
কোরবানির মাংস বানানোর পর সব মাংসকে সমান তিনভাগে ভাগ করতে হবে। পরিমাপের ক্ষেত্রে দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করা যেতে পারে।
গরিব-দুঃখী ও আত্মীয়স্বজন
মাংস সমান তিন ভাগ করার পর এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়।
চামড়া
কোরবানির গরুর আরেকটি অংশ হচ্ছে চামড়ার টাকা। যাতে গরিবদের হক রয়েছে। কোরবানির মাংস সব সময় নিকটতম আত্মীয় ও আশপাশের গরিব-দুঃখী প্রতিবেশীদের দেয়া উত্তম।
সূত্র:somoynews.tv;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.