রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ১৮ জুলাই আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবা বাংলামেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলাটির চার্জশিট বিচারের জন্য আমলে নিয়ে বুধবার (২৫ মে) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা পলাতক ২৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের মধ্যে বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ রয়েছেন।
এ মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৬ মে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই বশির আহমেদ।
এ ছাড়াও ওই বছরের ১৯ মার্চ বিশেষ ক্ষমতা আইনেও পৃথক আরেকটি চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। তিনটি চার্জশিটেই খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুল ইসলাম শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভীর ওরফে রবিন, নবীউল্লাহ নবী, কাইয়ূম কমিশনার, লতিফ কমিশনার এবং পেশাজীবী দলের নেতা সেলিম ভূঁইয়া।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান বৃদ্ধ যাত্রী নূর আলম (৬০)।
এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক কে এম নুরুজ্জামান।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫ (ঘ) ধারায় দায়ের করা মামলায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীসহ মোট ৮০ জনকে মামলার আসামি করা হয়।
সূত্র:banglamail24.com
You must be logged in to post a comment.