মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দিন ফরায়েজীর লাশ উদ্ধারের পর ২৫দিন অতিবাহিত হলেও তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। হত্যায় জড়িত অভিযোগে এজাহার নামীয় ছয় জনসহ সাতজনকে আটকের পর পাঁচজনকে তিনদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোন ক্লু উদঘাটন হয়নি। ফলে নিহত ফরায়েজীর পরিবার সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়ছে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার পূর্বক শাস্তির দাবীতে প্রথমে এলাকায় আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা সোচ্চার হলেও বর্তমানে গাঁ-ছাড়া ভাব বিরাজ করছে। এতে পরিবার সদস্যরা ফরায়েজী হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করে বিস্তারিত অবহিত করেছেন। যেকোনভাবে খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পরিবার সদস্যদের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
৬ সেপ্টম্বর দিবাগত রাতের যেকোন সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন ফরায়েজীকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করে টৈটং এর একটি ছড়াখালে ফেলে রাখে। ৭ সেপ্টেম্বর ভোরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে ওদিন রাতেই দাফন করা হয় তাকে। এঘটনায় নিহত ফরায়েজীর ছেলে বাদী হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখপূর্বক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ছয়জন ও সন্ধিগ্ধ একজনসহ সাতজনকে আটক করে। তন্মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। অপর পাঁচজনকে তিনদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহীদউল্যাহ।
এদিকে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শরীরের বিভিন্ন অংশ চট্টগ্রামে পাঠানো হলেও ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভিসেরা রিপোর্ট না পাওয়ায় কিভাবে ফরায়েজী মারা গেছে তার কারণ নির্ণয়ও করতে পারেনি পুলিশ।
You must be logged in to post a comment.