সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর উপায়

ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর উপায়

নতুন বছর নিয়ে প্রতিটি মানুষের অনেক পরিকল্পনা থাকে। কেউ কেউ চায় নিজের প্রতি যত্নশীল হতে। নতুন বছরে নিজের ফুসফুসের প্রতি হয়ে উঠুন আরও একটু বেশি যত্নবান।

সাধারণত ফুসফুস কতটা সুস্থ রয়েছে তা বোঝা যায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের হিসেবে তার বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা দেখে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ধারণক্ষমতা কমে। শরীরের গঠন অনুযায়ী নারীর তুলনায় পুরুষের ফুসফুসের ধারণক্ষমতা বেশি হয়। কিন্তু দীর্ঘ অনিয়ম ও অযত্নে তা কমতে পারে। আবার একটু বেশি যত্ন নিলে যে কেউ ফুসফুসেরও ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্থ থাকতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে নারী-পুরুষ উভয়ই যেভাবে ফুসফুসের যত্ন নিবেন-

ফুসফুস বিশেষজ্ঞ পবন আগরওয়ালের মতে, ‘ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে নানা ধরনের ব্যায়াম, বিশেষ করে কিছু কার্ডিও এক্সারসাইজ। সঙ্গে অবশ্যই নিজের ওঠাবসার প্রতি খেয়াল রাখা, ধূমপান ত্যাগ করা।’

শ্বাসের ব্যায়াম

ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে প্রতি দিন শ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ডায়াফ্রাগমাটিক ব্রিদিং, পার্শড লিপস ব্রিদিং, নানা রকমের প্রাণায়াম ইত্যাদি অভ্যাস করতে হবে।এতে ফুসফুসের পেশি শক্ত হওয়ার পাশাপাশি এর বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ে।

কার্ডিও এক্সারসাইজ

সাইক্লিং, রোয়িং, ট্রেডমিল এই সব কার্ডিও এক্সারসাইজগুলো ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে খুব উপযাগী। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা অভ্যাস নয়, বরং মাঝে মাঝে কিছুটা বিরতি নিয়ে এই ধরনের ব্যায়াম রপ্ত করতে পারলে তা ফুসফুসের খাঁচাকে মজবুত করে। শরীরের অন্যান্য রোগের উপর নির্ভর করে এই ধরনের ব্যায়ামের সময়সীমা নির্ধারণ করে নিতে হয়। তাই এই ব্যায়ামগুলোর আগেও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও ট্রেনারের পরামর্শ প্রয়োজন।

পানি

শরীরের প্রয়োজন অনুপাতে পানির পরিমাণ নির্ধারিত হয়। আপনার কতটুকু পানি খাওয়া প্রয়োজন দিনে তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের কাছ থেকে। সেই নিয়মেই পানি খেতে হবে। পানি ফুসফুসের মিউকোসাল লাইলিংগুলোকে সরু ও কার্যক্ষম করে তুলতে পারে।

ধূমপানকে বিদায়

ফুসফুসে নিকোটিন ও কার্বনের নানা যৌগ ফুসফুসে পৌঁছে ক্ষতি করে। তাই ফুসফুস ভাল রাখতে নতুন বছরে অবশ্যই ধূমপানকে বিদায় জানাতে হবে।

বসার ভঙ্গি

আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স-এর গবেষণা অনুসারে সোজা হয়ে না বসে শরীর কুঁচকে বা দুমড়ে মুচড়ে বসলে কিংবা সারা ক্ষণ আধশোয়া হয়ে বসলে ফুসফুসকেও কুঁকড়ে রাখে ও দীর্ঘ দিন এমন অভ্যাস বজায় রাখলে তা ফুসফুসের খাঁচাকে ছোট করে দেয়।

 

সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

জনবল সংকটে ৪ বছরেও চালু হয়নি সরই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র#https://coxview.com/sarai-hospital-rafiq-14-11-23/

জনবল সংকটে ৪ বছরেও চালু হয়নি সরই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

বান্দরবানের লামার ‘সরই ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’। মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম পার্বত্য ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/