ছোট থেকে বড় সবাই তাকে এক নামে চেনে। কারণ বিশ্বের সেরা ধনীর নামের তালিকায় তার নামটি বরাবরই প্রথমে থাকে। আর তিনি হলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
২০১৬ সালের অক্টোবরের এক জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের এ ধনী ব্যক্তিটির সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৩৯০ কোটি ডলার। আর এই হিসেব বৃদ্ধি পাচ্ছে মিনিটে মিনিটে।
অনেকে বলে থাকেন, কোনো কারণ বশত যদি তার ১০০০ ডলার মেঝেতে পড়ে যায়, তাহলে সেই পরিমাণ অর্থ তুলার জন্য বিল গেটস চেষ্টাও করেন না৷ কারণ মেঝে থেকে তুলতে তার চার সেকেন্ড সময় ব্যয় হবে৷ আর ততক্ষণে তিনি আরও ১০০০ ডলার আয় করে ফেলবেন৷
অতএব, বলাই বাহুল্য ধনী এই ব্যক্তিটির এমন কিছু সম্পদ রয়েছে যা সবার নেই। তবে দেখে নেওয়া যাক কী রয়েছে ধনবান এই ব্যক্তিটির সম্পদের ভাণ্ডারে-
২০১৪ সালের এক জরিপ অনুযায়ী বিল গেটসের ১২৩ মিলিয়ন ডলারের একটি আলিশান বাড়ি রয়েছে। জানা যায়, বাড়িটি তৈরি করতে সাত বছর সময় লেগেছে এবং অর্থ লেগেছে প্রায় ৬৩ মিলিয়ন ডলার। আরও জানা যায়, এই প্রযুক্তিবিদ প্রতিবছর ১ মিলিয়ন অর্থ শুধুমাত্র ট্যাক্স দিতেই ব্যয় করেন।
বিল গেটস’র বাড়ির দেয়ালে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের চিত্রশিল্প। মজার বিষয় হলো এ শিল্পকর্মগুলো পরিবর্তনশীল। অর্থ্যাৎ হাতের একটি ছোঁয়ায় বদলে যাবে চিত্রশিল্পগুলো।
একটি পরিবারেরর সদস্যদের জন্য কতোবড় সুইমিংপুলের প্রয়োজন হতে পারে! খুব স্বাভাবিকভাবে উত্তর আসবে খুব বেশি একটি বড় নয়। কিন্তু বিশ্বের সেরা এই ধনী ব্যক্তিটির বাড়ির সঙ্গে লাগানো অবস্থায় রয়েছে একটি সুইমিং পুল। যা দেখে অনেকের মনে হতে পারে ছোট খাটো একটি খাল। কারণ ওই সুইমিং পুলটি চওড়ায় ৬০ ফিট। এ ছাড়া এটির আন্ডার ওয়াটার মিউজিক সিস্টেমও রয়েছে।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের বাড়িতে রয়েছে প্রকাণ্ড আকারের একটি গ্রন্থাগার। আর আয়তন প্রায় ২ হাজার ১০০ স্কয়ার ফুট। জানা যায় তার গ্রন্থাগারে রয়েছে অনেক মূল্যবান বই এবং বিখ্যাত লেখকদের বই। এর মধ্যে বিখ্যাত ইতালীয় চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির কোডেক্স লেইসেস্টার বইটি অন্যতম। ১৯৯৪ সালে দ্য ভিঞ্চির নিজ হাতে লেখা ৩ কোটি ৮ লাখ ডলার মূল্যের এ বইটি কিনে নেন মাইক্রোসফটের এই প্রতিষ্ঠাতা।
এসব ছাড়াও ধনী এই ব্যক্তিটির রয়েছে ২০ আসন বিশিষ্ট একটি হোম থিয়েটার, নিজস্ব জেট বিমান, বেশ কিছু নামিদামী গাড়িসহ আরও অনেক কিছু।
সূত্র:রাকিব/কামরুল/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.