সাপটির নাম ঘরগিন্নি। হয়ত ঘরের আশেপাশে থাকত বলেই পেয়েছিল এই নাম। বিষহীন শান্তপ্রকৃতির এই সাপের তিনটি প্রজাতি পাওয়া যায় আমাদের দেশে। এর দুটি প্রজাতি সচারাচর দেখতে পাওয়া গেলে বাকি একটি প্রজাতি বেশ কমই দেখতে পাওয়া যায়।
Colubridae পরিবারের বিরল সাপটির ইংরেজি নাম Yellow-speckled Wolf Snake যার বৈজ্ঞানিক নাম Lycodon jara আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় এদের দেখা মেলে, তবে তার পরিমাণ খুব বেশি না হওয়াতে সাপটিকে বিরল বলা যায়।
সাপটির পুরো শরীর জুড়ে রয়েছে কালো রঙের ভেতর হলুদ রঙের ফোঁটা। বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল ও ভারতে পাওয়া যায় এ প্রজাতির সাপ। এই সাপ নিশাচর, তবে একে দিনেও দেখতে পাওয়া পায়।
প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এই প্রজাতির সাপ। সাধারণত বনজঙ্গল, ফসলের জমি, ছোট ঝোপঝাড়েই বসবাস করে এরা। খাবারের তালিকায় রয়েছে ছোট ব্যাঙ, ব্যাঙ্গাচি, ছোট গিরগিটি জাতীয় প্রাণী।
ছোট বা বড় যে কোন প্রাণীরই রয়েছে প্রকৃতিতে অপরিসীম ভূমিকা। তাই সাপ না মেরে বরং সাপ চেনার মাধ্যমেই আমরা কমাতে পারি সর্প ভীতি।
সূত্র:নোমান আল মুক্তাদীর-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.